আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের তিনটি প্রধান কাজ হচ্ছে- গণহত্যার বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন। আইন উপদেষ্টা হিসেবে আমার প্রধান কাজ গণহত্যার বিচার করা। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত গুম-খুন থেকে গণহত্যার বিচার চ্যালেঞ্জ শীর্ষক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ছিল না, তদন্ত কর্মকর্তা ছিল না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে প্রসিকিউশন টিম করা হয়েছে। তড়িঘড়ি করে বিচার করে বিচারকে প্রশ্নের মুখে ফেলা যাবে না। বিচার নিয়ে কোনো গাফিলতি হবে না, নিশ্চিত করে বলতে চাই। বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো দেরি হচ্ছে না।

এ সময় আসামিদের হাতকড়া পরানো নিয়েও কথা বলেন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, মামলার শুনানির সময় ও আসামিদের হাতকড়া না পরানো নিয়ে এখন সমালোচনা হচ্ছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের সময় আসামিদের আইনজীবী যিনি ছিলেন, তিনি বলেছেন শুনানির জন্য সে সময় ৩ মাস দেওয়া হয়েছিল। এখন শুধু ১ মাস দেওয়া হয়েছে। তখন আসামিদের কাউকে হাতকড়া পরানো হয়নি, এখনও আসামিদের হাতকড়া পরানো হচ্ছে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি হাছান মাহমুদ, ওবায়দুল কাদের মতো লোকগুলো কীভাবে পালিয়ে গেল সেই উত্তর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চান। একইসঙ্গে তাদের গ্রেফতার করতে না পারা সরকারের ব্যর্থতা বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আলোচনার শুরুতেই কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা। গত ১৬ বছরে দেশে ঘটা সব হত্যা, বিডিআর হত্যাকাণ্ডসহ সব গুমের বিচার দাবি করা হয়। এসময় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র গুমের মধ্য দিয়ে হাসিনা সরকারের গুমের সংস্কৃতি শুরু বলে অভিযোগ করেন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া জামায়াতের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, এখনো গুমের বিচার শুরু করেনি অন্তর্বর্তী সরকার।

সংলাপের দ্বিতীয় সেশন শুরু হবে বেলা আড়াইটায়। এতে সংস্কারের দায় ও নির্বাচনের পথরেখা বিষয়ে কথা বলবেন বক্তারা। সব শেষ বিকেল পৌনে ৫টায় ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় দেশের স্বার্থ ও নিরাপত্তা বিষয়ে হবে পঞ্চম অধিবেশন।